
তপছিল হাছান : চাঁদপুর জেলার মতলব পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড, পূর্ব কলাদি এলাকায় আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে জেরিন বেগম (২৪) ও তার স্বামী সোহাগ প্রদান। অভিযোগ রয়েছে, মাত্র এক সপ্তাহে তারা ৩৫টিরও বেশি মোবাইল ফোন এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। মোবাইল হস্তগত করার পর তারা ভুক্তভোগীদের ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে বিকাশের মাধ্যমে চাঁদা আদায় করছেন।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, সোহাগ ও জেরিন নিজেদেরকে ডিবি পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে যুবকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন। প্রেমের সম্পর্ক, ঘনিষ্ঠতার ফাঁদ এবং ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তারা টাকা আদায় করছেন। এতে প্রতিনিয়ত কেউ না কেউ প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।
অভিযোগ রয়েছে, ভুক্তভোগীরা থানায় গিয়েও আইনের সঠিক সহায়তা পাননি। মতলব দক্ষিণ থানায় ও যৌথ বাহিনীর কাছে তিনটি লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। তবুও আজ পর্যন্ত এই দম্পতির বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সচেতন মহলের দাবি, এদের প্রতারণা দীর্ঘদিন ধরে চললেও পুলিশ রহস্যজনকভাবে নীরব। প্রশ্ন উঠেছে— প্রশাসন কি ইচ্ছাকৃতভাবে এদেরকে আড়াল করছে? না কি কোনো অদৃশ্য প্রভাব কাজ করছে?
এদিকে ইজ্জতের ভয়ে অনেক ভুক্তভোগী প্রকাশ্যে মুখ খুলতে না পারলেও অভ্যন্তরীণভাবে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন। স্থানীয়রা বলছেন, যদি প্রতিনিয়ত এমন অপরাধ হয় এবং পুলিশ নীরব থাকে, তবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? এখন জোর দাবি জানানো হচ্ছে, এই প্রতারক চক্রকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে এবং জনগণের নিরাপত্তা ও সম্মান রক্ষায় এখনই প্রয়োজন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।