
বিশিষ্ট অভিনেতা,নির্দেশক এবং লেখক নরেশ ভূঁইয়া ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৫১ সালে বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম দেবেন্দ্র কুমার ভূঁইয়া এবং মাতার নাম তুলসী বালা ভূঁইয়া। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। ছোটবেলা থেকেই তার নাটকের প্রতি নেশা ছিল। পরে তার মঞ্চ নাটকের প্রতি একটা আগ্রহ সৃষ্টি হয়১৯৭২ সালে নরেশ ভূঁইয়া সর্বপ্রথম ‘চোখের দুঃখ’ নামক নাটকে অভিনয় করেন। এরপর যুক্ত হন নাট্য অভিনয়ে। ১৯৮৯ সালে তিনি মমতাজউদদীন আহমদের নির্দেশনায় ‘সাত ঘাটের কানাকড়ি’ নাটকে মঞ্চে অভিনয় করেন।
এছাড়া নরেশ ভূঁইয়ার সাংবাদিকতা শুরু হয় ১৯৭৩ সালে চিত্রালীতে কাজ করার মধ্য দিয়ে। তিনি ২০০৫ সাল পর্যন্ত চিত্রালীর সাথেই যুক্ত ছিলেন।
১৯৮০ সালে বিটিভির দীর্ঘ ধারাবাহিক মুসা আহমেদ প্রযোজিত ‘মাটির কোলে’ নাটকে আন্দু ভাই চরিত্রে অভিনয় করে অনেক আলোচনায় এসেছিলেন নরেশ ভূঁইয়া।
১৯৯০ সালে রাবেয়া খাতুনের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘মোহর আলী’ নাটকে অভিনয় করেন নরেশ। মোহর আলী চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন খালেদ খান। তারই কবিরাজ বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেও অনেক আলোচনায় এসেছিলেন নরেশ ভূঁইয়া।
নির্মাতা হিসেবে নরেশ ভূঁইয়ার যাত্রা শুরু ১৯৯৮ সালে ‘ভালোবাসি সুধাইও না কারে ভালোবাসি’-এর মাধ্যমে। এটি রচনা করেছিলেন তারই সহধর্মিণী, জনপ্রিয় অভিনেত্রী শিল্পী সরকার অপু। এতে অভিনয় করেছিলেন আসাদুজ্জামান নূর, শম্পা রেজা, শমী কায়সার, দিলারা জামান, সিরাজুল ইসলাম ও মামুনুর রশীদ। এরপরও তিনি ‘দয়িতা’, ‘ভালোবাসা ছুঁয়ে গেলে’, ‘কাঙ্ক্ষিত প্রহর’, ‘ভুল লিখতে ভুল করিও না’সহ আরও বেশ কিছু নাটক নির্মাণ করেন।
আশির দশকের শেষ প্রান্তে নরেশ ভূঁইয়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতিতে (বাচসাস) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০২৫ সালে নরেশ ভূঁইয়া ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নরেশ ভূঁইয়া ১৯৮৩ সালের ২৩ নভেম্বর অভিনেত্রী শিল্পী সরকার অপুর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন , তাদের দাম্পত্য জীবনে তিনজন পুত্র সন্তান রয়েছে। তাদের বড়ো ছেলে, অভিমন্যু না হয় কিশোয়ার রুপাই, সিঙ্গাপুরের ফিলিপ ক্যাপিটালের মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন। তাদের মেজো ছেলে, ইয়াশ রোহান ইতোমধ্যে বাংলা নাটক ও চলচ্চিত্রে একজন তরুণ অভিনেতা হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন এবং ছোট ছেলে, অর্জুন, স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া