
বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে অনুষ্ঠিত এই বছরের ‘সেরা মানবিক পুরস্কার ২০২৫’ জিতেছেন। এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি চার্চ অফ সায়েন্টোলজি প্রদান করে। অভিনেতা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাইরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন।
আনিসুর রহমান মিলন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমি সত্যিই সম্মানিত এবং আনন্দিত তবে এ পুরস্কারটি কেবল আমার নয় এটি লস অ্যাঞ্জেলস অ্যাক্টিং একাডেমির প্রতিটি সদস্যের কারণ তাদের সহযোগিতা ছাড়া আমার পক্ষে এই অর্জন সম্ভব হত না।
আনিসুর রহমান মিলন বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয় নাটক এবং চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস এর সুবাদে ইদানিং বাংলাদেশী নাটক বা চলচ্চিত্রে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য বাংলাদেশের দর্শক ও ভক্তবৃন্দ সাম্প্রতিক সময়ে তার কোন কাজ পাচ্ছেন না।
তিনি মার্কিন শিল্পীদের প্রভাবশালী সংগঠন ‘দ্য স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড-আমেরিকান ফেডারেশন অফ টেলিভিশন অ্যান্ড রেডিও আর্টিস্টস’ (SAG-AFTRA) এর সদস্য হয়েছেন। বাংলাদেশ-মার্কিন যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘MR-9: Do or Die’ মিলনকে হলিউড অভিনেতা হিসেবে নিজের নাম লেখানোর সুযোগ করে দিয়েছে।
আনিসুর রহমান মিলন ২০২৫ সালের শেষ দিকে জানিয়েছিলেন তিনি এখন স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড অফ আমেরিকার সাথে যুক্ত। এজন্যই তিনি মূলধারার হলিউড ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ তৈরি করতে পারছেন। এবং তাকে হলিউডের কাজের জন্য দৌড়াতে হবে , বাংলাদেশে তার অভিনীত শেষ ছবি ‘মায়া’ । আনিসুর রহমান মিলন বলেন যে বাংলাদেশ থেকে কাজের প্রস্তাব পেলেও তার পক্ষে সেগুলিতে কাজ করা সম্ভব নয়। সেই কারণেই তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়মিত অভিনয় করার চেষ্টা করছেন এবং এর মধ্যে বেশ কিছু কাজও করেছেন। এছাড়া বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কাজ ও তার হাতে রয়েছে।
আনিসুর রহমান মিলন বলেন যদিও আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছি এবং অভিনয় করছি এর মানে এই নয় যে বাংলাদেশকে আমি ভুলে গেছি বা বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমার ভালোবাসা নেই , তবে বাংলাদেশে আমার সম্মানিত দর্শকদের খুব মিস করি এবং বাংলাদেশের সবাই ভালো থাকুক এই কামনা করি।